শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে জলদস্যুদের গুলিতে মোকাররম হোসেন নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন। এসময় ট্রলারসহ ১৯ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জলদস্যূরা।
নিহত মোকাররম হোসেন ( ৪৫ ) কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের আজিমুদ্দিন সিকদারপাড়ার মৃত জাফর আলমের ছেলে এবং উত্তর ধুরুং ইউপির মহিলা সদস্য (মেম্বার) রহিমা বেগমের স্বামী।
বুধবার গভীর রাতে বঙ্গোপসাগরে মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে এই ঘটনা ঘটেছে।
কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম বলেন, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়ার পশ্চিমে জলদস্যুর কবলে পড়েন একটি মাছ ধরার ট্রলার। এসময় জলদস্যুর গুলিতে মোকাররম মাঝি নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন। ট্রলারে থাকা অন্য জেলেরা নিখোঁজ রয়েছে।
অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসা জয়নাল উদ্দিন নামের এক জেলে বলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার মুহাম্মদ ইসমাঈলের মালিকানাধীন একটি ফিশিং ট্রলার ২১ জন জেলে নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরার সময় বুধবার রাত আনুমানিক ২ টার দিকে অস্ত্রধারী জলদস্যুরা হামলা চালায় ট্রলারে। এতে মাঝি মোকাররম গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনার পর জলদস্যূরা আমাকে ও গুলিবিদ্ধ মাঝি মোকাররমকে আরেকটি ট্রলারে তুলে দেয়। পরে অন্যান্য জেলেসহ ট্রলারটি অপহরণ করে নিয়ে যায় জলদস্যূরা। “
ভূক্তভোগী এ জেলে বলেন, ঘটনায় গুলিবিদ্ধ জেলেকে অন্য ট্রলারের সহযোগিতায় উদ্ধার করে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়ার পথে বাঁশখালী এলাকায় মৃত্যু ঘটে। নিহতের মরদেহ বর্তমানে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছেন।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, বঙ্গোপসাগরে গভীর সাগরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত একজনের লাশ বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। এতে নিহতের শরীরের বুকের ডান পাশে বগলের নিচে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, প্রশাসন পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply